পরিবেশ বাঁচাতে করণীয় কি?
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

চুুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌরসভায় ওয়েভ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফলজ বৃক্ষ রোপন ও বিতরন কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার ০৩ আগস্ট ২০২৫ ওয়েভ ফাউন্ডশন কর্তৃক জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জয়রামপুর স্টেশন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়রামপুর ডি এস দাখিল মাদ্রাসা, পারকৃষ্টপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ও পারকৃষ্টপুর সমৃদ্ধি প্রবীণ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলজ বৃক্ষ রোপণ ও বিতরন করা হয়েছে।

সবুজের পথে এগিয়ে যাবে প্রতিষ্ঠানটি। চারিদিকে সবুজে সবুজে ঢেকে যাবে সমৃদ্ধি ও বিভিন্ন সরকারী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। শিক্ষার্থীদের পরিবেশবান্ধব ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্কুল মাঠের চারপাশে ফলজ গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ মহতী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ও প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ কিতাব আলী ওয়েভ ফাউন্ডশনের সহকারী পরিচালক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ টিটু খাঁন উপজেলা সমৃদ্ধি প্রকল্প সমন্বয়ককারী দামুড়হুদা চুুয়াডাঙ্গা। আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ জাহিদুল ইসলাম উপজেলা সমৃদ্ধি সহকারী প্রকল্প সমন্বয়ককারী দামুড়হুদা।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোঃ ফজলুল হক ফজু বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানি লিমিটেড।

বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মণ্ডলী, স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক প্রতিনিধি সদস্য সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পুরো বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রমের সহযোগিতা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও সদস্য গন।

বৃক্ষ রোপন কর্মসুচীতে উদ্বোধনী বক্তব্যে জনাব মোঃ কিতাব আলী বলেন

"আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুধু শিক্ষা অর্জনের স্থান নয়, এটি হবে একটি আদর্শ সমাজ তৈরির কারখানা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠুক এবং নিজেদের হাতে গড়া সবুজ ভবিষ্যতের জন্য।

মোঃ টিটু খাঁন বলেন, “আজকের এই বৃক্ষরোপণ শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং একটি প্রতিজ্ঞা—আমরা একটি সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে চাই।”

শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে দিনটি হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী অনুষ্ঠানে সভাপতি বলেন, “আমাদের সন্তানদের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হলে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।" একই সাথে সমাজের প্রতিটি নাগরিক গণ বৃক্ষ রোপণকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে দেখার আহ্বান জানান।

বৃক্ষরোপণের পুরো কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে ছিলেন মোঃ ফজলুল হক ফজু বলেন, "আমরা এই ফলজ গাছ শুধু লাগিয়েই থেমে থাকবো না, নিয়মিত পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে। পরিবেশ সুরক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি একটি বিনিয়োগ।"

এই বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে প্রমাণ করে—যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু বিদ্যাশিক্ষায় নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা, পরিবেশ সচেতনতা ও নাগরিক দায়িত্ববোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই বৃক্ষরোপণ শুধু গাছ লাগানো নয়, বরং একটি নতুন যুগের সূচনা—সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলার।