নতুন বাংলাদেশের ইশতেহারঃ শহীদ মিনারে এনসিপি
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল ৪টার শুরুতে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ নামক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, জেলার-উপজেলার সংগঠনগুলো, এবং সব দিক থেকেই আগত নেতা–কর্মীরা।

দলটি এই আয়োজনে অনুপ্রাণিত রূপে ঘোষণা করল দেশ গড়ার নতুন রূপরেখা—এক একটি অংশে পরিবর্তনের নতুন বার্তা দিবে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রতিরক্ষা খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের পরিকল্পনা সামনে তুলে ধরা হবে।

সমাবেশের শুরু থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা ‘জুলাই’র স্মৃতিবাহী স্লোগান নিয়ে ঢাকায় আসছে—কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, গাইবান্ধা, নোয়াখালী, কুষ্টিয়ার বাসে করে ছুটি ভেঙে এসে শহীদ মিনার অলির দিকে আসা তাদের দৃশ্য নজর কাড়ছে। এই মাসব্যাপী ‘জুলাই পদযাত্রা’র পর পরই আজ তাদের সমাবেশের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার পাঠ করা হচ্ছে।

তবে সবচেয়ে হৃদয়স্পর্শী অংশ ছিল গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হয়া ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি। তাদের সঙ্গে হয়ে উঠেছিল শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিবিধ কথা—নতুন বাংলাদেশের রূপরেখার প্রয়োজনীয়তা ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। একইসঙ্গে অধিবাসী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষদের চাহিদা ও প্রত্যাশা শোনার পর সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোই দল ‘নতুন ইশতেহার’-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে, তা Convener নাহিদ ইসলাম আগামি বক্তব্যে ঘোষণা করবেন বলেও জানানো হয়েছে।

লিডারদের বক্তব্যে জোর দেওয়া হলো যে এই সমাবেশে প্রথম অধিবেশন থেকে ঘোষণা করা হবে—‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার মানে দেশের রূপান্তরের নতুন রূপরেখা’. যুগ্ম আহ্বায়ক (সিনিয়র) আরিফুল ইসলাম আদিব জানান, সমাবেশ বিকেল ৪টায় স্থির করে রাখা হয়েছে যেন চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ব্যস্ততাকে বিবেচনা করা যায় এবং শাহবাগে অন্য রাজনৈতিক দলের সমাবেশের কারণে গাড়িজটে শিক্ষার্থীরা ভুগে না পরে; তাই ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা কমিটির নেতারাই এখানে এসে অংশ নিয়েছেন, দেশের বাকি জেলা–উপজেলার সংগঠনগুলোকে নির্ধারিত স্থানগুলিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে ।

এ ছাড়া মোট প্রস্তুতিতে দেখা গিয়েছে: শহীদ মিনারের চারপাশে লাল কার্পেট, বহুবিধ ডিজিটাল স্ক্রিন, একাধিক পর্যায়ে ভোর থেকে ঢুকে পড়া সতর্ক নিরাপত্তা—সবই পরিমিতভাবে সাজানো হয়েছে। এমন প্রস্তুতি ব্যতিরেকে এ ধরনের জনঅনুপ্রেরণামূলক সমাবেশ সম্ভব নয় বলে নেতারা মনে করেন