আগস্টের আগে ভারতের সাথে সম্ভাব্য চুক্তি: ট্রাম্প
ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে—এবং সেটি সম্ভবত ভারতের সাথেই হবে।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতে একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি আছি’ । এই মন্তব্য তখন আসে যখন ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন, যা এই সম্ভাবনাকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে ।

প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ভারতের জন্য নির্ধারিত শুল্ক হার ইন্দোনেশিয়ায় হওয়া চুক্তির ১৯%-এর তুলনায় ২০%-এর নিচে—এটি ভারতের পক্ষ থেকে একটি প্রতিযোগিতামূলক এবং লাভজনক আশ্বাস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে । ট্রাম্প ইন্দোনেশিয়ার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া আমাদের বাজারে পুরো প্রবেশাধিকার দিয়েছে... ভারতও সেই পথে আগপানে’ ।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছি—আগে আমরা এগুলোতে প্রবেশযোগ্য ছিলাম না, এখন শুল্ক নীতি বদলে আমরা সুযোগ পাচ্ছি” । ট্রাম্পের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল জানিয়েছেন—আলোচনা সর্বোচ্চ গতি ও সতর্কতার সঙ্গে চলছে ।

তারপরও, কৃষি ও দুগ্ধজাত দ্রব্যে ভারত রপ্তানির ক্ষেত্রে কড়া অবস্থানে রয়েছে; এই দুই খাত সংবেদনশীল হওয়ায় তা চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে । অন্যদিকে, ইস্পাত (৫০%) ও অ্যালুমিনিয়াম এবং গাড়িমূল্যে (২৫%) যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক নিয়ে বিরোধ এখনও অব্যাহত রয়েছে, যার ব্যাপারে ভারত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় রুঢ়ভাবে অভিযোগ করেছে ।

চিঠি বিতরণ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন গত সপ্তাহে একের পর এক ‘শুল্ক চিঠি’ পাঠানোর ঘোষণা দিলেও, ভারতের পক্ষ থেকে এতদূর কোনো চিঠি পাওয়া যায়নি । যাত্রার সময়সূচিতে বলা হয়েছে—আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত শুল্ক কার্যকর হওয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মার্কিন–ভারত বাণিজ্য ছিল প্রায় ১২.৯২০ ট্রিলিয়ন ডলার; যেখানে আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য ৪.৫৭০ ট্রিলিয়নের ঘাটতি ছিল। ২০২৩ সালের তুলনায় তালিকাভুক্ত দুই খাতে বৃদ্ধি পেয়েছে—মার্কিন রপ্তানি বেড়েছে ৩.৪% ও আমদানি বেড়েছে ৪.৫% ।