ডিসি বানিয়ে মিথ্যা মামলা’—সাজ্জাদ শাকিবের অকপট দাবিতে হইচই
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

জামালপুরের মেলান্দহে বালুখেকো রেজাউল করিম ও আশরাফ গংদের চাঁদার টাকা না দেওয়ায় পূর্বপরিকল্পনা মাফিক মিথ্যা অভিযোগের শিকার হয়েছেন সাজ্জাদ হোসাইন শাকিব।

এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দুপুরে শহরের শেখের ভিটা এলাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সাজ্জাদ হোসেন শাকিব ও তার পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরো বিষয়টি পুনঃতদন্ত স্বাপেক্ষে সত্য ঘটনা উদঘাটন করার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী সাজ্জাত হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, সে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আয়াত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী। ঘটনার কিছুদিন পূর্বে সে উপজেলা এলজিইডি অফিসের আওতায় ফ্ল্যাট প্রকল্পের একই প্যাকেজের তিনটি রাস্তা মেরামতের কাজ অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে কিনে নেন। রাস্তার কাজের জন্য মাটি কিনতে সে স্থানীয় জুইস, রেজাউল, আশরাফ নামের লোকদের সাথে যোগাযোগ করেন। সে সময় ঠিকাদারি কাজের কথা শুনে দালাল রেজাউল চাহিদা মত মাটির ব্যবস্থা করার কথা বলে অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। পরে সে (ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন) মেলান্দহ উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের বুলবুল মেলেটারি নামের এক লোকের সাথে যোগাযোগ করেন এবং মাটি কাটার সকল বন্দোবস্ত সম্পূর্ণ করেন। সেসময় অভিযুক্ত রেজাউল, আশরাফ ও জুইস সাংবাদিকসহ অজ্ঞাত সাদা পোশাকধারী দুই ডিএসবি এবং ডিজিএফআই সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। এসময় পুনরায় তার (সাজ্জাদ হোসাইনের) কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করে রেজাউল করিম ও আশরাফ। সেসময় টাকা দিতে অস্বীকার করায় সাজ্জাদ হোসেনকে ডিসি বানিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে পুলিশে দেন রেজাউল- আশরাফ চক্র।

তিনি আরও বলেন, তিনি (সাজ্জাদ হোসাইন) শুধু তার কাজের স্বার্থেই সেখানে গিয়েছিলেন এবং চাঁদা না দেওয়ার কারণেই ডিসি'র তকমা লাগিয়ে জেল খাটতে হয়েছে।

এসময় বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, জেলা প্রশাসক ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ঘটনার পুনঃতদন্তের দাবি করেন ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন শাকিব এবং আশরাফ-রেজাউল গং সহ চাঁদাবাজ চক্রের প্রত্যেক সহযোগীর শাস্তির দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসাইন শাকিবের পিতা সাইফুল ইসলাম, স্ত্রী বিপাশা সাকিবসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ মার্চ জামালপুরের মেলান্দহে ডিসি (জেলা প্রশাসক) পরিচয়ে চাঁদাবাজি করায় মো. সাজ্জাদ হোসেন সাকিব (৩৫) কে আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।