
ভারতের আহমেদাবাদে ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার তদন্তে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং থেকে জানা গেছে, উড্ডয়নের পরপরই উড়োজাহাজের দুই ইঞ্জিনের জ্বালানি সরবরাহের সুইচ 'কাট-অফ' অবস্থায় চলে যায়।
এ সময় সহপাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সভারওয়ালকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি সুইচগুলো বন্ধ করেছেন, তবে ক্যাপ্টেন জানাননি। এই সুইচগুলো এক সেকেন্ডের ব্যবধানে বন্ধ হওয়ায় ইঞ্জিনের শক্তি কমে যায় এবং উড়োজাহাজটি নিচে নামতে শুরু করে। পরে সুইচগুলো আবার চালু করা হলেও, উড়োজাহাজটি পুনরায় ইঞ্জিন সচল করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত সেটি একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়, যার ফলে ২৪১ জন যাত্রী এবং ১৯ জন মাটিতে থাকা ব্যক্তি নিহত হন।
তদন্তে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি পাওয়া যায়নি, তবে ক্যাপ্টেনের সুইচ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এটি একটি মানবিক ত্রুটি বলে মনে করছেন এবং তদন্তে ক্যাপ্টেনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন বলেছেন, তদন্ত এখনও চলছে এবং কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়নি।
নতুন তথ্যের ভিত্তিতে, তদন্তকারীরা ক্যাপ্টেন সুমিত সভারওয়ালের সিদ্ধান্ত এবং তার পেশাদারিত্ব নিয়ে আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করছেন। এটি বিমান চলাচলে নিরাপত্তা এবং পাইলটদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়।