দত্ত হলের ঢালু রাস্তায় সিঁড়ি নির্মাণে কুবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের পিছনের ঢালুতে সিড়ি নির্মাণের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।


সোমবার (১৭ই নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বরাবর এই স্মারকলিপি জমা দেন তারা। 


স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, "শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের পেছনের ঢালু রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন দত্ত হল, নজরুল হল এবং আশপাশের মেসের শিক্ষার্থীরা ক্যাফেটেরিয়া, বাসস্ট্যান্ড, মসজিদ ও অন্যান্য স্থানে যাতায়াত করেন। কিন্তু পথটি দীর্ঘদিন ধরে পিচ্ছিল, ঢালু ও চারদিকে জঙ্গলবেষ্টিত হওয়ায় যাতায়াতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বর্ষাকাল ও কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে পথটি আরও বেশি বিপদজনক হয়ে ওঠে এবং জঙ্গলের কারণে সাপের উপস্থিতিও দেখা যায়। এর আগে সিঁড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।" 



স্মারকলিপিতে দ্রুত একটি স্থায়ী পাকা সিঁড়ি নির্মাণের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, "এটি হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও ঝুঁকিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত হবে। স্মারকলিপিতে দত্ত হলের বহু শিক্ষার্থী গণস্বাক্ষর প্রদান করেন।"


এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শেকাব উদ্দিন বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও ঝুঁকিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেখানে একটি পাকা সিঁড়ি নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।”


হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী হারিস উদ্দিন বলেন, “হলের পিছনে ঢালু রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী চলাফেরা করে, কিন্তু এই রাস্তাটা ঢালু এবং পিচ্ছিল হওয়ায় যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, এবং চারদিকে ঘন জঙ্গল থাকায় বিষাক্ত সাপের উপস্থিতিও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন যদি উক্ত স্থানে স্থায়ী পাকা সিড়ি মির্মাণ করে তাহলে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।”


শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, “এটা আসলে বড় ধরনের নির্মাণ কাজ। শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে জানিয়েছে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি। আর এসব কাজগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন থেকে করা হয়। আমি দপ্তরেও বলেছিলাম এটা করার জন্য এবং আর এই রাস্তাটা স্টুডেন্টদের জন্য জরুরী। মসজিদে যাওয়ার জন্য ক্যাফেটোরিয়াতে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা শর্টকার্ট হিসেবে এই রাস্তাটা ব্যবহার করে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের সমস্যা উল্লেখ করে সুপারিশ করেছি বাকিটা বিশ্ববিদ্যালয় যদি বিবেচনা করেন তাহলে ছাত্ররা উপকৃত হবে।”


এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “আগেও একবার সিড়ি নির্মণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছিলো কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে বাস্তবায়ন হয়নি এবার আমরা ওপেন টেন্ডাররের মাধ্যমে কাজগুলো ঠিকাদারদের মাধ্যমে করবো।”