
দুর্নীতি, হত্যা, মাদক ও অস্ত্র আইনের একাধিক মামলার আসামি বগুড়ার যুবলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বগুড়া ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, “আব্দুল মতিন সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, মাদক ও অস্ত্র মামলার পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলাতেও সাজা রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন করে কয়েকটি হত্যা মামলায় তাঁর নাম আসায় তিনি আত্মগোপনে চলে যান।”
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার মতিন সরকার শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন এবং রাজধানীতে সপরিবারে বসবাস করছিলেন।
দুদকের করা মামলায় চলতি বছরের ১১ মার্চ বগুড়ার বিশেষ জজ আদালত আব্দুল মতিন সরকারকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় তাঁকে ২ কোটি ২৮ লাখ ৩১ হাজার ৩১৫ টাকা জরিমানা করা হয় এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন আদালত। মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছিল তাঁর অনুপস্থিতিতে।
আব্দুল মতিন সরকার বগুড়া শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং তিনি শহরের চকসূত্রাপুর এলাকার মৃত মজিবর রহমান সরকারের ছেলে। তিনি সর্বশেষ বগুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।
উল্লেখ্য, মতিন সরকারের ছোট ভাই তুফান সরকার ২০১৭ সালের আলোচিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েন। ভর্তির প্রলোভনে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় তুফান সরকার বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
গ্রেপ্তার আব্দুল মতিন সরকারকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।