
‘পরিকল্পিত উন্নয়নের ধারা, নগর সমস্যায় সাড়া’ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে সোমবার (৬ অক্টোবর) উদযাপিত হবে বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৫। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দিবসটি উদযাপনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ইন বাংলাদেশ, মিজ গোয়েন লুইস।
দিবসটি উপলক্ষে ৬ ও ৭ অক্টোবর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এতে রিহ্যাব, রাজউক, স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা সহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা তাদের আবাসন ও নির্মাণ খাতের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।
উদযাপনকে আরও সমৃদ্ধ করতে একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। এতে তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে: “রেজিলিয়েন্ট কমিউনিটি ওয়েসিস: ইনক্লুসিভ পাবলিক ওপেন স্পেসেস ফর আর্থকুয়েক প্রিপেয়ার্ডনেস” (ড. সুদীপ্তি বিশ্বাস, প্রফেসর, এমআইএসটি), “এন অ্যাসেসমেন্ট অব ইনফরমাল সেটেলমেন্ট অ্যান্ড লো-কস্ট হাউজিং ইনিশিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ: ফেলিউরস, সাকসেস, ফ্যাক্টরস অ্যান্ড আ ফ্রেমওয়ার্ক ফর সাসটেইনেবল আরবান ডেভেলপমেন্ট” (মিস উসওয়াতুন মাহেরা খুশি, বোর্ড মেম্বার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটি) এবং “জার্নি টুয়ার্ড হাউজিং সলিউশন্স অ্যামিড দ্য আরবান ক্রাইসিস” (কান্ট্রি ডিরেক্টর, হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি)।
দিবসটির মূল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬ অক্টোবর সকালে একটি র্যালি আয়োজন করা হবে। র্যালিটি সকাল ৮:৩০টায় জিয়া উদ্যান থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শেষ হবে। দেশের সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে দিবসটি উদযাপন করা হবে। এছাড়া স্মরণিকা প্রকাশ, টেলিভিশন ও বেতারে বিশেষ টকশো প্রচার এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হবে।
বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপনের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো নিরাপদ নগর এবং মানসম্মত বাসস্থান বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, এবং ১৯৮৬ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এটি পালিত হয়ে আসছে।