ইবির নির্মাণাধীন হলে স্থাপন হচ্ছে ‘হাই ইউরিনাল', শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নতুন নির্মাণাধীন আবাসিক হলের টয়লেটে বসানো হয়েছে হাই ইউরিনাল। এতে বসে প্রস্রাব করার সুযোগ না থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন ও ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে ফ্লোর মাউন্টেড ইউরিনাল স্থাপন করা জরুরি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি শিগগিরই সংস্কার করা হবে।


সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে পাঁচটি আবাসিক ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। এর মধ্যে লালন শাহ হলের পকেট গেট সংলগ্ন ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই ভবনের প্রতিটি তলায় ৪টি করে মোট ৪০টি ইউরিনাল বসানো হয়েছে। তবে সবগুলোই হাই ইউরিনাল, যা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয়তা ও ধর্মীয় দিক উপেক্ষা করে স্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিল হোসাইন বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যই আধুনিক শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় ঘটানো। ইসলাম ও বিজ্ঞানে বসে প্রস্রাব করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু আধুনিকতার নামে ধর্মীয় মূল্যবোধ উপেক্ষা করা হয়েছে। আমরা চাই দ্রুত এসব ইউরিনাল সংস্কার করা হোক।”


এ বিষয়ে সিভিল তত্ত্বাবধায়ক ও প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান টুটুল বলেন, “ডিজাইনটি একুমেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে করা হয়েছিল। মূলত ভবনের স্ট্রাকচার, রড-সিমেন্টের মান ইত্যাদি বিষয় দেখা হয়। ইউরিনাল বসানোর ধরন নজরে আসেনি। আধুনিকতার দিক বিবেচনায় ইউরিনাল বসানো হয়েছে, তবে ধর্মীয় দিকটি ভাবা হয়নি। আমি শিগগিরই ভিজিট করে দেখব, সংস্কারের সুযোগ আছে কি না।”


তিনি আরও বলেন, “যেহেতু এই ভবনের কাজ শেষ পর্যায়ে, তাই পরবর্তী নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে হাই ইউরিনাল না বসানোর চেষ্টা করব। প্রয়োজনে হাই ইউরিনাল ও ফ্লোর মাউন্টেড ইউরিনাল মিলিয়ে বসানো হবে।”


ঠিকাদার নুরুল ইসলাম বলেন, “ওয়াশরুমের টাইলসের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে যদি বসার ব্যবস্থা রাখা সম্ভব হয়, তাহলে সংস্কারের চেষ্টা করব।”


বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “প্রতি তলায় চারটি ইউরিনালের মধ্যে তিনটি ফ্লোর মাউন্টেড ও একটি হাই ইউরিনাল থাকবে। হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে একটি হাই ইউরিনাল রাখা হবে।”