
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’ নামে আংশিক প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাকসু ভবনের সামনে এ প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
এতে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৭ শিক্ষাবর্ষের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদ মো. রেদওয়ান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আরাফাত ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
১৩ সদস্য বিশিষ্ট এ আংশিক প্যানেলে অন্যান্য পদে প্রার্থী হয়েছেন- সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রবিউল হাসান, দপ্তর সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাসনীম ফাত্তাহ কিবরিযা, ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক মুসররত কবির পৃথা, সমাজসেবা ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক এএম তৌহিদুল হক, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মশিউর রহমান দূর্জয় এবং নির্বাহী সদস্য পদে মো. রায়হান মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে এজিএস প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমি শাখা ছাত্রদলের একজন এক্টিভ কর্মী হিসেবে কাজ করেছি। সংগঠনের প্যানেলের প্রার্থী হতে আমি ভাইভা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে নেওয়া হয়নি। প্রথমে আমি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন আমাদের সমমনাদের নিয়ে সর্বজনীন শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ আংশিক প্যানেল গঠন করেছি। এতে আমি এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।”
তিনি বলেন, “আমাদের প্যানেল ঘোষণার পর থেকে আমি দলীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। আমি ছাত্রদলে থাকব কিনা- এটা সংগঠনই সিদ্ধান্ত নেবে। সংগঠন যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই মেনে নেব। সংগঠন আমাকে নির্বাচন থেকে সরে আসতে বললেও আমি নির্বাচন করছি।”
তিনি আরো বলেন, “এ প্যানলে আমিসহ ভিপি, দপ্তর সম্পাদক এবং আইন ও মানবাধিকার সম্পক প্রার্থী ছাত্রদলের এক্টিভ কর্মী ছিলাম। আমরা চারজনই দলের প্যানেলে মনোনয়ন পেতে ভাইভা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কাউকেই নেওয়া হয়নি প্যানেলে।”