জামালপুরে বধূকে বিয়ের এক মাসের মাথায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের বড় আদ্রা গ্রামে বিয়ের মাত্র এক মাসের মাথায় নববধূ জনি আক্তারের উপর যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ অবরুদ্ধ নববধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।


পারিবারিক সূত্র জানায়, বড় আদ্রা গ্রামের মোফাজ্জল সরকারের ছেলে মোশারফ হোসেন অন্তরের সঙ্গে (২৮) একই গ্রামের জুবের আকন্দের মেয়ে জনি আক্তারের বিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর হয়। বিয়ের পরপরই মোশারফ হোসেন অন্তরকে তার বাবা-মা ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। এরপর বিভিন্ন সময় শশুর মোফাজ্জল সরকার ও শাশুড়ি মরিয়ম বেগম পুত্রবধূর কাছে ১০ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়।


নির্যাতিতা নববধূ জনি আক্তার অভিযোগ করেন, “আমার স্বামী ঢাকায় চলে যাওয়ার পর থেকেই কোনো খোঁজ রাখেননি। শশুর-শাশুড়ি যৌতুকের জন্য আমাকে মারধর করেছেন, এমনকি বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা করা হয়েছে।”


নির্যাতিতার বাবা জুবের আকন্দ জানান, তিনি গরীব কৃষক, এত টাকা যৌতুক দিতে না পারায় মেয়েকে নিয়মিত নির্যাতন করা হয়েছে।


সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল হাসান বলেন, “পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নববধূকে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলা হলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”


শশুর মোফাজ্জল সরকারের মন্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।