 
      ডাকসু নির্বাচনের পর থেকেই নানা সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতা এই দুই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবার তারা নেমেছে মাঠে। তারই অংশ হিসেবে গতকাল শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান, ভবঘুরে ও উদ্বাস্তু উচ্ছেদ অভিযান।
টিএসসি থেকে চারুকলা অনুষদ পর্যন্ত, টানা চারদিন ধরে চলে এই অভিযান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ডাকসু, সিটি করপোরেশন, মহানগর পুলিশ ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ—সবাই অংশ নেয় এই যৌথ অভিজানে।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি যুবায়ের বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসে প্রতিনিয়ত বহিরাগতরা অবাধ প্রবেশ করে। অনেকে মেট্রোর নিচে বা আশপাশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই জড়িত মাদকসেবন, বিক্রি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।” তিনি বলেন, "এটি ছিল ডাকসুর পক্ষ থেকে একটি প্রাথমিক উদ্যোগ। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে স্থায়ী সমাধানের কাজ করা হবে।"
তবে এই অভিযানে বাধা দিয়েছে কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠন। তাদের অভিযোগ, এই উচ্ছেদ অভিযান অমানবিক এবং শ্রমজীবী মানুষের জীবিকা ধ্বংস করছে।
এসময় তারা মিছিল করে, বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের নেতারা । মিছিলে বাধা দিলে আহত হন প্রক্টরিয়াল টিমের কয়েকজন সদস্যও।
এ ঘটনার পরপরই ডাকসু জিএস এস এম ফরহাদসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে। এস এম ফরহাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বেলন, ক্যাম্পাসের স্টেকহোল্ডার হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী। এর বাইরে কোনো মাদক ব্যবসায়ী, অনিবন্ধিত দোকানদার কিংবা হকারদের কোনো ইস্যুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। বহিরাগত উচ্ছেদে যাদের পুরনো মাদক ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের সিন্ডিকেট ভেঙে যাচ্ছে, তারা আজ নতুন বয়ান হাজির করার চেষ্টা করল এবং মিছিলেরও আয়োজন করলো।
ঐ পোস্টে ফরহাদ আরো বলেন, "কথা একটাই, হয় ডাকসু থাকবে, নতুবা অবৈধ ব্যবসা-মাদক সিন্ডিকেট থাকবে; দুটো একসাথে চলতে দেবো না।"
 নিউজ ডেস্ক
                     নিউজ ডেস্ক 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
