 
      মিরপুরের রাতটা যেন ছিল এক ক্রিকেট-নাটকের মহাসমাপ্তি! প্রতিটি বল, প্রতিটি স্পিন , প্রতিটি শট যেন লিখছিল এক নতুন ইতিহাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই সিরিজটা হয়ে রইল বাংলাদেশের রেকর্ড-বইয়ের এক উজ্জ্বল অধ্যায়।
প্রথম থেকেই মিরপুরের উইকেটটা বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে আজ কথা বলবে শুধু স্পিন। আর ঘটেছেও তাই! পুরো সিরিজে স্পিনাররা নিয়েছেন ৪৪টি উইকেট। যা এক সিরিজে স্পিনারদের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার বিশ্ব রেকর্ড!
বাংলাদেশি স্পিনাররা একাই তুলেছেন ২৬টি উইকেট, নিজেদের ইতিহাসে এক সিরিজে সর্বোচ্চ! আর পুরো সিরিজে স্পিনারদের করা ১৩৬৩টি বল, সেটিও ইতিহাস। যেটি একই সিরিজে সবচেয়ে বেশি বল করা রেকর্ড!
ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান—তাদের ব্যাটে যেন বজ্রপাত! দু’জনের ১৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটি, বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, মিরপুরে সর্বোচ্চ, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা শুরু!
আর সেই দাপটই শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় ১৭৯ রানের বিশাল জয়ে। ওয়ানডেতে রানের হিসাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তো এমন ব্যবধানে কখনও জয় পায়নি বাংলাদেশ। পুরনো রেকর্ড ১৬০।
এর পর বাংলাদেশের বোলিং টাইম। মঞ্চে তখন তরুণ লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেন।তার বলের ঘূর্ণিতে যেন নেচে উঠছিল প্রতিটি উইকেট। পুরো সিরিজে ১২ উইকেট, যা বাংলাদেশের কোনো স্পিনারের এক সিরিজে সর্বোচ্চ। পেস-স্পিন মিলিয়েও এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কীর্তি। রিশাদ যেন হয়ে উঠেছিলেন মিরপুরের নতুন ঘূর্ণি-যাদুকর!
প্রতিটি বলের পেছনে ছিল আবেগ, প্রতিটি সেলিব্রেশনে ছিল গর্ব। এই সিরিজ কেবল জয়ের নয়, এটি ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট আত্মবিশ্বাসের পুনর্জন্ম।
স্পিনের ঘূর্ণি, ব্যাটের তাণ্ডব আর রেকর্ডের ঢেউ। মিরপুরে আবারও গর্জে উঠল টাইগাররা। ক্রিকেট-বিশ্ব দেখল বাংলাদেশও জানে ক্রিকেটের ইতিহাস লিখতে
 নিউজ ডেস্ক
                     নিউজ ডেস্ক 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
