
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরান কখনোই ইসরায়েল বা জায়নবাদীদের সঙ্গে আপস করবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হয়েছে, আমরা দয়া দেখাব না।’
এ বক্তব্য আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যের পর। ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র খামেনির অবস্থান জানে, তবে তাকে এখনই হত্যা করবে না। ইরান জানিয়েছে, তারা প্রতিশোধ নেবে।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইরান দাবি করেছে, তাদের ফাত্তাহ-১ হাইপারসনিক মিসাইল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ভেদ করে তেলআবিবে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েল পাল্টা হামলায় ইরানের ১২টি ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটি লক্ষ্য করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানকে পরাজিত করা সহজ নয়। তাদের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান, শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তি, প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা এবং রাশিয়া-চীনের মিত্রতা রয়েছে। একইসঙ্গে তারা ছায়া নেটওয়ার্ক দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা। তবে সাবেক কূটনীতিকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এই অবকাঠামো ধ্বংস সম্ভব নয়। বর্তমানে ইরানে এমন মাত্রার ইউরেনিয়াম মজুত রয়েছে, যা ১০টি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট।
রাশিয়া এই হামলাকে অবৈধ ঘোষণা করে তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই সরাসরি যুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে।