
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তাঁর মা তাহমিনা বেগমের লাশ বাসা থেকে উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ দাবি করে বিচার দাবিতে কুমিল্লা শহরে মানববন্ধনে যোগ দেওয়ার জন্য বাস না পেয়ে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে প্রশাসনের কাছে বাসের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু প্রশাসন অস্বীকৃতি জানালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা দেন।
লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মুতাসিম বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, “আমরা তো শুধু একটা বাসই চেয়েছিলাম মানববন্ধনে যাওয়ার জন্য। অথচ রেজিস্ট্রার আমাদের বলেন, আন্দোলনের জন্য প্রশাসন বাস দিতে দায়বদ্ধ নয়। এমন সংবেদনশীল ঘটনায় প্রশাসনের এমন উদাসীনতা আমাদের বিস্মিত করেছে।”
অন্যদিকে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “একটি বাস ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছিল। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। আরও একটি বাস দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। ভুল বোঝাবুঝির কারণে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে।”
উল্লেখ্য, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা শহরের নিজ বাসা থেকে সুমাইয়া আফরিন ও তাঁর মা তাহমিনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।