রাত যত গভীর হয়, ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তত জোরালো হয়
ছবিঃ সংগৃহীত

এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আল-জাজিরা কথা বলেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের প্রখ্যাত সাংবাদিক গিদেওন লেভির সঙ্গে।

গিদেওন লেভির মতে, অধিকাংশ ইসরায়েলি নাগরিক আকাশপথে আক্রমণের ঝুঁকি থেকে "ভালোভাবে সুরক্ষিত" রয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের ‘অ্যালার্ম সিস্টেম’ অত্যন্ত উন্নত। আক্রমণের আগেই লোকজন মোবাইল অ্যাপ এবং সাইরেনের মাধ্যমে সতর্কবার্তা পেয়ে যান। এর ফলে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য তাঁরা সময় পান। তেল আবিবের মতো এলাকায় প্রায় প্রতিটি নতুন ভবনে নির্দিষ্ট নিরাপদ কক্ষ ও আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে, যা সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এই সুরক্ষা ব্যবস্থা সবার জন্য সমান নয়। বিশেষ করে ইসরায়েলের আরব ও বেদুইন জনগোষ্ঠী এই সুবিধা থেকে অনেকাংশেই বঞ্চিত। উদাহরণ হিসেবে তিনি ফিলিস্তিনপ্রধান শহর তামরার কথা বলেন, যেখানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চারজন নিহত হন। সেখানে কোনো সুরক্ষা আশ্রয়কেন্দ্র নেই। অথচ পাশে অবস্থিত একটি ছোট ইহুদি গ্রামে রয়েছে একাধিক আশ্রয়কেন্দ্র।

তিনি বলেন, "এই ধরনের রাত যদি আরও বাড়ে, তাহলে ইসরায়েলিরা শুধু আতঙ্কিত ও ক্লান্তই হবেন না, তারা এক সময় নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করবেন। বারবার যুদ্ধ ও গোলাগুলোর এই চক্রের কোনো মানে আছে কি না—সেটা নিয়েই ভাববেন। কারণ এবার পরিস্থিতি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভিন্ন, আর বেসামরিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হতে পারে।"

লেভি আরও বলেন, ইসরায়েল কিছুদিন হয়তো এই হামলা সহ্য করতে পারবে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হবে। এ যুদ্ধ গাজা বা লেবাননের সীমিত সংঘাতের মতো নয়; এবার পরিণতি অনেক গভীর হতে পারে।