
অপরাধ, গৃহহীনতা ও অনথিভুক্ত অভিবাসীদের দমন করতে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম শহর শিকাগোতে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ উদ্যোগ নিচ্ছেন। সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও পরিকল্পনার বিকল্প হিসেবে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে কয়েক হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের আলোচনা চলছে। অপরাধ, গৃহহীন ও অনথিভুক্ত অভিবাসীদের দমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ উদ্যোগ নিচ্ছেন।
সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাটির বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে এর কিছু বিকল্প নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে যত দ্রুত পারা যায় যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় জনবহুল শহরটিতে ন্যাশনাল গার্ডের অন্তত কয়েক হাজার সদস্য মোতায়েন করা।
এর আগে গত জুনে লস অ্যাঞ্জেলসে ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ডের ৪ হাজার সদস্য ও ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। স্থানীয় নেতাদের প্রতিবাদ ও অঙ্গরাজ্যটিতে বিক্ষোভ উপেক্ষা করে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। অনুমোদন পেলে শিকাগোতেও একই পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
সম্প্রতি ট্রাম্প রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত তিনটি অঙ্গরাজ্যের গভর্নরদের চিঠি দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে কয়েক'শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিকাগোয় সক্রিয় মেরিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আলোচনায় থাকলেও তা এখনই বাস্তবায়ন নাও হতে পারে।
ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে থাকা শহরগুলোর প্রশাসনের ওপর কিছুদিন ধরেই কঠোর হতে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পকে। এরই ধারাবাহিকতায় শিকাগোর মেয়রকে উপহাস করে রিপাবলিকান এই রাজনীতিক গত শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিকাগোর অবস্থা জগাখিচুড়ি’। শিকাগোকে গুছিয়ে নেবেন বলেও জানান তিনি।
ইলিনয়ের ডেমোক্র্যাট গভর্নর জেবি প্রিৎজকার এক বিবৃতিতে বলেন, অঙ্গরাজ্যটির আদতেই সহায়তা প্রয়োজন কি না, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই জানা যায়নি। ন্যাশনাল গার্ড বা সেনাবাহিনী মোতায়েনের মতো জরুরি পরিস্থিতি অঙ্গরাজ্যে নেই বলেও জানান তিনি। ট্রাম্প সংকট তৈরির চেষ্টা করছেন বলেন তিনি।
শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে শুক্রবার তিনি বলেছিলেন, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের মতো যেকোনো ধরনের বেআইনি পদক্ষেপ নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে।