
২০২৩ সালের জুনে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ওশানগেটের তৈরি টাইটান ডুবোজাহাজ ধ্বংস হয়ে পাঁচ পর্যটক মারা যান। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে আর কোনো অভিযান পরিচালনা হয়নি। তবে আবারও সমুদ্রের গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাচ্ছেন অজ্ঞাতনামা এক ধনকুবের ।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে থাকা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের পাশেই পাওয়া গিয়েছিল টাইটান ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ। ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ এখনো রোমাঞ্চপ্রিয় অভিযাত্রী ও কোটিপতিদের কাছে আকর্ষণীয় বিষয়। গুঞ্জন উঠেছে, নতুন অভিযানের আয়োজন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে, তবে সবকিছু গোপন রাখা হচ্ছে।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে সমুদ্রের গভীরে যাবেন অজ্ঞাতনামা সেই ধনকুবের। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার সংবাদ প্রচার হতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে ধনকুবেরের পরিচয় নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা।
কেউ মনে করছেন, তিনি হতে পারেন টেসলার উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। কারও ধারণা, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। আবার অনেকে মার্কিন ব্যবসায়ী ল্যারি কনারের নামও উল্লেখ করছেন।
নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সূত্রের তথ্যমতে, ওই কোটিপতি প্রায় এক কোটি ডলার খরচ করে অভিযানে নামার পরিকল্পনা করেছেন। তিনি চান, টাইটান বিপর্যয়ের পর টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে যাওয়া প্রথম ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হতে। সবকিছু গোপন রাখা হলেও অভিযানের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
২০২৩ সালে ডুবে যাওয়া পর্যটকবাহী টাইটান ডুবোজাহাজ চার দিন পর উদ্ধার করা হয়। সমুদ্রতলের ধ্বংসাবশেষ বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ডুবোজাহাজটি নামার সময়ই ভেতর থেকে ভেঙে চূর্ণ হয়েছিল।
ফলে ভেতরে থাকা পাঁচজন পর্যটক মুহূর্তেই প্রাণ হারিয়েছিলেন। নিহতদের একজন ছিলেন ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী স্টকটন রাশ। টাইটান ডুবোজাহাজের দুর্ঘটনার পর টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আর কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।