কম্বোডিয়া চায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’, থাইল্যান্ড কী বলছে?
ছবিঃ সংগৃহীত

সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে উত্তেজনার সূচনা হয়, যার পরিণামে ২৪ জুলাই থেকে সীমান্তে প্রচণ্ড সংঘর্ষ লেগে ওঠে।

দুই পক্ষের মধ্যে কামান, রকেট ও বিমান সহ ব্যবহৃত হয় যুদ্ধাস্ত্র, যা অব্যাহত দুই দিনের বিদ্বেষপূর্ণ সংঘর্ষে পরিণত হয়। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৩২–৩৫ জনে, এবং ১৩৮,০০০’র বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে ।

কম্বোডিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে “অবিলম্বে ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতি” দাবিসহ সংঘাতের শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিক সমাধান চেয়েছে । এর বিপরীতে, থাইল্যান্ড তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা মালয়েশিয়া হালকাভাবে বিবেচনা করলেও, প্রধানত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এর মাধ্যমে সমাধান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া, আসিয়ানের বর্তমান চেয়ার, দুই দেশের মধ্যে আলোচনা-মধ্যস্থতায় আগ্রহ দেখিয়েছে এবং সম্ভাব্য নিরস্ত্রীকরণ প্রস্তাব করেছে ।

সংঘর্ষের ফোকাস প্রায় ১৩০ কিমি বিস্তৃত সীমান্ত অঞ্চল—বিশেষ করে প্রাহা ভিহিয়ার উপত্যকা ও প্রাসাত তা মওন থম অঞ্চলে—যেখানে অধিকাংশ ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হয়েছে । সংঘাত চলাকালীন থাইল্যান্ড অক্টার্ড মিনচে প্রদেশে কম্বোডিয়ার দ্বারা এক ৭০ বছরের বয়স্ক ব্যক্তিসহ বেসামরিক হতাহত হয়েছে, অথচ থাইল্যান্ডও কমপক্ষে ১৯ জন নিহত (প্রধানত বেসামরিক) সহ ফৌজদার কোনো সেনা মৃত্যু ঘটেছে এবং কমপক্ষে ৪৬ জন আহত হয়েছে—যার মধ্যে ১৫ জন সেনাসদস্য ।

এই জটিল ও উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ একটি জরুরি বৈঠকের আয়োজন করে এবং সমস্ত পক্ষকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও কূটনৈতিক সমাধানে আহ্বান জানায়