
ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২১ জুলাই দুপুরে Bangladesh Air Force-এর F 7 BGI প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুন লেগে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রথম দিকে অন্তত ১৯–৩১ জন নিহত হয়, যার মধ্যে ২৫ জন শিশু ও একটি পাইলটও ছিলেন । মোট ১৭১ জন আহত হয় এবং অনেকেই দগ্ধ হয়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে আরও দুই জন মারা যান, যার ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৫ জনে পৌঁছায়। সকাল ৯টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে সপ্তম শ্রেণির ১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী জারিফ ফারহান মারা যান; তাঁর শরীরের প্রায় ৪০% পুড়ে গিয়েছিল । পৌনে ১১টার দিকে একই হাসপাতালে কর্মচারী মাসুমা বেগম (৩৮) মারা যান; তাঁর শরীরের প্রায় ৯০% অংশ পুড়ে গিয়েছিল ।
বর্তমানে এই ইনস্টিটিউটে ৪০ জন আহত চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আইসিইউতে আছেন । এর আগে শুক্রবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৩ জন; নতুন এই মৃত্যুর পর সরকারি হিসাব অনুযায়ী তা বৃদ্ধিপেতে ৩৫ এর।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহড়া চলছিল এবং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুল ভবনে ধাক্কা দেয় বলে জানানো হয়েছে। ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার এবং একটি উচ্চস্তরের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে