আজ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস। ইংরেজী ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় হবিগঞ্জ। দিবসটি উপলক্ষ্য বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহণ করেছে হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড।
মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল এম এ রব (বীর উত্তম) ও মেজর জেনারেল এজাজ আহমেদ চৌধুরীর নির্দেশে ভারতের খোয়াই বাঘাই ক্যাম্পের ২২ কোম্পানীর ১ নং প্লার্টুন কমান্ডার আব্দুস শহীদের নেতৃত্বে ৩৩ মুক্তিযোদ্ধা ৩ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বাহুবলে অবস্থান নেন। এর পর তারা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে হবিগঞ্জের বিভিন্ন পাক ক্যাম্পে হামলা চালান।
এ সময় বেশ কয়েকজন পাক সৈন্য প্রাণ হারায়। একটানা ৩ দিনের অভিযানের পর ৬ ডিসেম্বর ভোরে পাক বাহিনী পালিয়ে যায়। এদিন কমান্ডার (অবসরপ্রাপ্ত) সুবেদার আব্দুস সহিদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু, শুকুর মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, সিরাজ মিয়া, রইছ আলী, আব্দুল কুদ্দুছ, আবু মিয়া, আব্দুল লতিফ, গিয়াস উদ্দিন, কালা মিয়া, ছাবু মিয়াসহ ৩৩ সদস্যের মুক্তিযোদ্ধার এ দলটি বিজয়ী বেশে হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করেন।
তারা সারা শহর প্রদক্ষিণ করে সদর থানায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ওই দিন একই সঙ্গে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ, লাখাই ও চুনারুঘাট উপজেলাও মুক্ত হয়। হবিগঞ্জ মুক্ত করতে গিয়ে বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি, লাখাই উপজেলার কৃষ্ণপুর, চুনারুঘাট উপজেলার লালচান্দ চা বাগান, নালুয়া চা বাগান ও বাহুবল উপজেলার রশিদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সহস্রাধিক মুক্তিকামী নারী-পুরুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক বলেন, 'আজ হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস আমাদের জন্য একটি উৎসবের দিন। আজকের এই দিনটি আমি সরকারী ভাবে পালনের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানাই।' তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনটিকে ঘিরে জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতায় নানা কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।

