কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে পুনরায় রাজনীতি উন্মুক্ত করার দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। রবিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপিটি জমা দেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ৮ আগস্ট ১০০তম সিন্ডিকেট সভায় তৎকালীন উপাচার্য মঈন কর্তৃক নেওয়া ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত এখনও বহাল রয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি এখনো উন্মুক্ত করা হয়নি। ছাত্রদল জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করা প্রতিটি শিক্ষার্থীর সাংবিধানিক অধিকার। তবে ২০২৪ সালের পূর্ববর্তী সময়ের ন্যায় এখনও কিছু শিক্ষার্থীর রাজনৈতিক মতামতকে অবহেলা করা হচ্ছে।
সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, “একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন রাজনৈতিক মত থাকবে, সকল ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং শিক্ষার্থীবান্ধব ও মানবিক কর্মকাণ্ড করবে—এটাই হওয়া উচিত। যদি প্রশাসন রাজনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করে, তাহলে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমরা চাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (কুকসু) গঠন হোক। তবে তার আগে ছাত্ররাজনীতি পুনরায় উন্মুক্ত করতে হবে। প্রশাসন যদি অন্য কোন গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য রাজনৈতিক কার্যক্রম সীমিত রাখে, সেটা হতে দেওয়া হবে না।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী স্মারকলিপি প্রাপ্তি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা স্মারকলিপিটি পেয়েছি। এটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির কাছে পাঠানো হবে। পরবর্তী অনুমোদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট কুবির ১০০তম সিন্ডিকেট সভায় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।

