
লাতিন আমেরিকার ফুটবল বাছাইপর্বে আজ একসঙ্গেই হোঁচট খেল দুই মহারথী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
ক’দিন আগেই আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল দু’দলই আলাদা আলাদা ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ৩–০ ব্যবধানে হারিয়ে জয়ের স্বাদ নিয়েছিল। কিন্তু আজ ভাগ্য ঘুরল উল্টো পথে, শেষ ম্যাচে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো দুই শক্তিশালী দলকে।
প্রথমে আসি আর্জেন্টিনার কথায়।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা আগেই নিশ্চিত করেছিল বিশ্বকাপের টিকিট। তবে ইকুয়েডরের মাঠে শেষ বাছাই ম্যাচে লিওনেল মেসিকে ছাড়াই নেমেছিল তারা। দলের অধিনায়ক বিশ্রামে থাকায় আক্রমণে দেখা যায় ছন্দপতন। ৩১তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় স্কালোনির শিষ্যরা, এনার ভ্যালেন্সিয়াকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যান অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ওতামেন্দি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ভ্যালেন্সিয়ার পেনাল্টি গোলই হয়ে যায় ম্যাচের নির্ণায়ক মুহূর্ত। পুরো ম্যাচে ৮টি শট নিয়েও একটিও টার্গেটে রাখতে পারেনি আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত ১–০ ব্যবধানের হারে বাছাইপর্ব শেষ করে তারা।
একই অবস্থা ব্রাজিলের।
বলিভিয়ার উচ্চতাভিত্তিক মাঠে খেলতে নেমে স্বাভাবিক ছন্দে ছিল না কার্লো আনচেলত্তির দল। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে ছিল নড়বড়ে। বিপরীতে বলিভিয়া খেলেছে দারুণ আগ্রাসী ফুটবল। ২৩টি শটের মধ্যে ১০টি ছিল টার্গেটে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মিগুয়েলিটো। সেখান থেকেই ব্রাজিলের ভরাডুবি। আলিসন হাত ছোঁয়ালেও ঠেকাতে পারেননি বল। দ্বিতীয়ার্ধে চেষ্টা করেও সমতায় ফিরতে ব্যর্থ হয় সেলেসাওরা। ফলে ১–০ ব্যবধানেই হার মানতে হলো পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯ সালের পর প্রথমবার বলিভিয়ার কাছে হারলো ব্রাজিল। আর একই দিনে মেসিহীন আর্জেন্টিনাও ব্যর্থ হলো জয় নিয়ে ফিরতে।
দিনশেষে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলে তাই গল্পটা একেবারেই উল্টো। যেখানে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের সমানতালে জয়গাঁথা লিখে রাখার বদলে একই দিনে সমানতালে ভরাডুবির কালো অধ্যায় যোগ হলো ইতিহাসে।