চিলির কফিনে শেষ পেরেক ব্রাজিলের, মনুমেন্তালে মেসির অশ্রুভেজা বিদায়
ছবিঃ সংগৃহীত

লাতিন আমেরিকার আকাশে একসাথে জ্বলে উঠলো দুই ভিন্ন আলো। একদিকে ভবিষ্যতের উজ্জ্বল নক্ষত্র নিয়ে দাপট দেখালো ব্রাজিল, অন্যদিকে বিদায়ের আবেগে ভাসলেন লিওনেল মেসি!



মারাকানার ঘাসে যেন ঝড় বইলো। বল দখলে, আক্রমণে, গোলের সুযোগে, সবখানেই একচেটিয়া আধিপত্য ব্রাজিলের।

৩৮তম মিনিটে নতুন নক্ষত্র এস্তেভাও উইলিয়ানের প্রথম গোলেই ভেঙে পড়ে চিলির দেয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে ঝড় আরও প্রবল, বদলি নামতে না নামতেই লুকাস পাকেতার গোল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্রুনো গিমারেসের আঘাতে শেষ হয়ে যায় চিলির সব আশা।৩–০ গোলে গর্জে উঠে মারাকানা, কনমেবল তালিকার দুই নম্বরে ঝলমল ব্রাজিল। নেই নেইমার, নেই ভিনিসিয়াস, তবু সেলেসাওর ভবিষ্যৎ যে সোনালি, তা চোখের সামনে দেখিয়ে দিল এই তরুণরা।



অন্যদিকে, মনুমেন্তালের মঞ্চে ছিল আবেগ আর ইতিহাসের মেলবন্ধন। হয়তো এটাই ঘরের মাঠে লিওনেল মেসির শেষবারের মতো আর্জেন্টিনার জার্সিতে নামা। স্ত্রী, সন্তান আর পুরো পরিবারকে নিয়ে হাজির হলেন সবার প্রিয় তারকা। ৮০ হাজার দর্শকের করতালিতে কেঁপে উঠলো পুরো স্টেডিয়াম।


৩৯ মিনিটে মেসির বাম পায়ের যাদুতে প্রথম গোল, মনুমেন্তালের রাত যেন থমকে গেল মুহূর্তে। এরপর লাউতারো মার্টিনেজ ব্যবধান দ্বিগুণ করলে শেষ আঘাতটা আবারও মেসির। সহজ ট্যাপ ইন, আরেকটি গোল, আরেকটি আবেগঘন মুহূর্ত। ৩–০ গোলে হারলো ভেনেজুয়েলা, কিন্তু জয়টা মূলত মেসির বিদায়ের ঘণ্টাকে আরো আবেগময় করে দিলো।

 

একদিকে নতুন প্রজন্মের ঝলক দেখাল ব্রাজিল, অন্যদিকে দুই দশকের আলো ছড়িয়ে বিদায়ের পথে হাঁটছেন লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়া তাই আবারও বুঝলো, লাতিন আমেরিকায় ফুটবল শুধু খেলা নয়, এটি আবেগ, এটি মহাকাব্য!