
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমে এক সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে ‘জুলাই শহিদ পরিবার’ ও ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সংবর্ধনা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারাশিদ বিন এনাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মৌমিতা গুহ ইভা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুরাদ হাসান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
দিনের শুরুতে ইউএনও ফারাশিদ বিন এনাম ২৪’র জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া বাজিতপুরের তিন বীর শহিদের কবর জিয়ারত করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। মূল অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইউএনও বলেন, “আমার জীবনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হওয়ার সুযোগ হয়েছে, কিন্তু ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ আমার কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই গণআন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এবং আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে একসাথে দেখে আমি অভিভূত। এত মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। গণতন্ত্রের ভিত্তি রক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। জনগণের মনোভাবই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের দিক নির্ধারণ করে।” অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “২৪’র জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ছিল গণতন্ত্রের জন্য এক ঐতিহাসিক লড়াই। শহিদরা প্রমাণ করেছেন যে, দেশের জন্য জীবন দেওয়া একটি মহান দায়িত্ব। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের পথচলার অনুপ্রেরণা।”
অনুষ্ঠান শেষে শহিদ ও আহতদের পরিবারের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। উক্ত আয়োজনে অংশগ্রহণকারী সবার মধ্যে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়, যা বাজিতপুরে গণতান্ত্রিক চেতনা জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।