
সাউথ আফ্রিকার সাবেক পেসার ও বর্তমান ভারতীয় বোলিং কোচ মর্নে মরকেল এক সাক্ষাৎকারে সিরাজকে ‘জাতীয় নেতা’ (natural leader) হিসেবে উল্লেখ করেছেন, কারণ সিরিজব্যাপী তাঁর নেতৃত্বমূলক দক্ষতা এবং দলের জন্য দায়বদ্ধতা প্রশংসনীয় ভাবে এবং শারীরিকভাবে স্পষ্ট ছিল।
অন্যদিকে ইংলিশ ব্যাটসম্যান জো রুট সিরাজকে 'একজন সত্যিকারের যোদ্ধা’ (warrior) হিসেবে বিবেচনা করেছেন—২৬ ওভার বল করে দুটি উইকেট তুলে নিয়ে এবং ইংলিশ ব্যাটিংলরকে এক সময় ধরে রেখে ।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবাহতভাবে তুলে ধরেছে—সিরাজ ইংল্যান্ড সিরিজে পুরো দলের মধ্য সর্বোচ্চ ২০ উইকেট নিয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ১৮১.২ ওভার বল করে সর্বোচ্চ ওভার বোলিং ব্যাটারিত অবস্থানে থেকেছেন, যা ভারতীয় বোলিং ইউনিটে তাঁর অনবদ্য কর্মবন্ধভুতির লক্ষণ।
ইংল্যান্ডে যিবাবে বিশ্বমানের পেস বোলার যশপ্রীত বুমরাহ দুই ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন—এই দুই ম্যাচেই সিরাজ দেখিয়েছেন দুর্দান্ত স্পেল — এজবাস্টনে ৭ উইকেট নিয়ে ভারতের প্রথম জয়ের নায়ক তিনি, ওভালে চলতি টেস্টেও নিয়েছেন ৬ উইকেট। পুরো সিরিজে বিশাল সংখ্যক ২০ উইকেট, যতটা Akash Deep-এর সঙ্গেও মিলিতভাবে ছিল—তাই তিনি এককভাবে ভারতের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন ।
ক্রীড়া বিশ্লেষক যেমন ডেল স্টেইন, ইংল্যান্ড দলের মানুষসহ क्रिकेट বিশ্লেষক গনমাধ্যমে এই সফলতা স্বীকার করেছেন—“সিরাজই ভারতের পারফরম্যান্সের শেষ ভরসা” উল্লেখ করে।
কিছু ব্যাটসম্যান সিরাজের বিরুদ্ধে বল করার সময় চোট জীবন ঝুঁকিতে রেখেছে—কিন্তু তিনি খেলেছেন অটুট, একমাত্র পেসার যিনি পাঁচ টেস্টই চোটমুক্ত রেখে শেষ করেছেন। তার শক্তিশালী বোলিং, ল্যাথাল লাইন ও লেংথ ভারতীয় দলের পক্ষে ভরসার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিরাজের ক্রিকেট জীবনের প্রেক্ষিতে তার দ্যুতি এসেছে ছায়া থেকে—ক্যারিয়ারের শুরুতে আইসিসি দল বা T20 ওয়ানডে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা হয় না। তবে তিনি থেমে যাননি; দলের বাইরে থেকেও কঠোর অনুশীলন চালিয়ে গেছেন, এবং পরে আইপিএলে চমক দিয়ে দলে জায়গা করে নেন—এই ধারনার কারণে এখন তিনি বিশাল আন্তর্জাতিক মান্যতায় সম্মানিত হয়েছেন।
অনেকেই বলবেন—যদি বুমরাহ না থাকতেন, ভারত নির্ভর করবে সিরাজের ওপর। ভারতের পেস আক্রমণকে বিভাগে দেখা হলে, তখনই সিরাজ নিজেকে রেখেছেন—যখন সবাই ভেবেছিল, এক আগামীর দাবি, সেজন্যই এখন তিনি ভারতের ‘শেষ আশা’ ও একটি ‘সংগীত’।
সিরিজ শেষ হতে চলেছে, এখনও ইংল্যান্ডের কাছে ৩৫ রানের দারুণ সুবিধা। ভারতকে যদি সিরিজ **২–২ সমতায় ফিরিয়ে আনা হয়, তাহলে এটিই হবে সিরাজের নাটকীয় অধ্যায়—সেই যোদ্ধার, এক জাতপেসারের।