
যশোর-৩ আসনে বিএনপির উদীয়মান তরুণ নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বর্তমানে ভোটের রাজনীতিতে প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করছেন।
তিনি খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দলের তরুণদের মন জয় করছেন এবং ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জনসংযোগ জোরদার করেছেন। অন্যদিকে, জামায়াত-নির্ধারিত প্রার্থী সরকারি এম এম কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল কাদের ইসলামী পরিচয় ও দলীয় ঐক্যকে ভর করে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্থিতিশীল অবস্থান তৈরি করছেন।
বিএনপি–জামায়াত এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জাতীয় পার্টি, হেফাজত ইসলাম, সিপিবি, জাসদ সহ অন্যান্য দলের প্রার্থী-নির্ধারণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে স্থানীয় বিশ্লেষকদের মতে, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি–জামায়াতের লড়াইয়ে আমলগীর অমিতের ব্যাপক সমর্থন ও মাঠগত সক্রিয়তা তাঁকে পরাজয় থেকে বিজয়ী করে তুলতে পারে।
এ আসনে ভোটার সংখ্যা ২০২৪ সালের নিরিখে ৫,৭৯,৯৩৭, পুরুষ ভোটার ২,৯২,৯৪৭ এবং মহিলা ভোটার ২,৮৬,৯৮৪ জন, হিজড়া ভোটার ৬ জন। মোট ১৮৯টি কেন্দ্র ও ১৩১৫টি বুথে ভোটগ্রহণ নির্ধারিত, যা যশোর-৩ এর গুরুত্ব প্রতিফলিত করে; এটি বাংলাদেশের প্রাচীন অঞ্চলগুলোর একটিতে অবস্থিত ।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে নির্বাচনী ইতিহাসে প্রথম এমপি হিসেবে আওয়ামী লীগের জেকেএমএ আজিজ ছিলেন; পরবর্তী নির্বাচনে কখনো বিএনপি, কখনো জাতীয় পার্টি, আবার আওয়ামী লীগ জয়ের ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। ২০০১–এর পর জেলা এলাকা মূলত আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত হলেও বর্তমান রাজনীতির গতিপথ সংখ্যা ও প্রতিকূলতা বদলে দিচ্ছে ।
নবীন ভোটারদের মনেও এনসিপি–এর উত্থান এবং বিজেপিটির অনুপ্রবেশ অনেকটা আগ্রহ সৃষ্ট করেছে। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে ধারণা হচ্ছে, এখানে মূল লড়াই হবে বিএনপি–জামায়াত বনাম আওয়ামী লীগ–এনসিপি; জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দল এখনও প্রধান ভূমিকা নিতে পারেনি।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের মতে, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জয়ী হবেন, কারণ আওয়ামী লীগ মাঠ থেকে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় বিএনপি–জামায়াতের জনসংযোগ জোরালো। অপরদিকে জামায়াত-নির্ধারিত আব্দুল কাদের নিজস্ব ধর্মীয় ইমেজ ও ঐক্যকে সামনে রেখে লড়াই চালাবেন তবে সমর্থনের ব্যাপ্তি সীমাবদ্ধ হতে পারে।