গাজীপুরে দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের দুই বাসিন্দা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনীমের কার্যালয়ে পৃথক দুটি অভিযোগ জমা দেন।


অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী সালাউদ্দিন আইউবীর উদ্যোগে কাপাসিয়া ইউথ ফোরামের ব্যানারে শুক্রবার বিকাল ৩টায় স্থানীয় আড়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। প্রথম সেমিফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন দাড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী সালাউদ্দিন আইউবী। এতে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. শহীদুল্লা।


অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মো. আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়,শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সনমানিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি ব্যাপক লোকসমাগম ঘটিয়ে কম্বল বিতরণ করেন। এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালে তিনি দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে পাঁচটি কম্বল, কিছু ক্যালেন্ডার এবং ৫৫ জন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ফটোকপি ফেলে রাখা হয়। এসব আলামত সনমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত দফাদার মো. মহসিনের মাধ্যমে পরিষদে জমা রাখা হয়েছে।


সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও ইউএনও ডা. তামান্না তাসনীম জানান, দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কম্বল বিতরণের বিষয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে পাওয়া যায়নি।


এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মো. আবুল হাসেম বলেন, “আমি আমার আত্মীয়-স্বজনের জন্য ৩-৪টি কম্বল দিয়েছি। রিটার্নিং অফিসার আমাকে ফোন করেছিলেন। ভবিষ্যতে এমন কিছু আর হবে না।”

অন্যদিকে প্রার্থী সালাউদ্দিন আইউবী বলেন, “আমি ফুটবল খেলার আয়োজন করিনি। নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে আমি সচেতন। এলাকাবাসী নিজেরাই এই খেলার আয়োজন করেছে “