ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উদীচী, ছায়ানট ও বামপন্থী সংগঠন নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেছেন, বক্তব্যে ‘তছনছ’ বলতে তিনি মূলত ‘আধিপত্যবাদী বয়ান’ ভেঙে দেওয়াকে বুঝিয়েছেন।
আজ শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ ব্যাখ্যা দেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুর প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমার বক্তব্য স্পষ্ট করে বলেছি শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহিদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট,পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।”
স্ট্যাটাসে তিনি আরও বলেন, “বামেদের সুরে কন্ঠ মিলিয়ে ছাত্রশক্তির জুলাই গাদ্দার আমাদের কালচারাল লড়াইয়ের সবক দেয়। অথচ জুলাইয়ের ছবি বিকৃতি করে ওরা প্রথমা থেকে বই বের করে জুলাইয়ে ইতিহাসকে প্রথম বিকৃতির সূচনা করেছিল। এভাবে মতিবাবুর কদমবুচি করে জুলাইয়ে গাদ্দাররা কালচারাল বিপ্লব করবে! ওসমান হাদির জীবিত থাকতে তার বিরুদ্ধে নষ্টামি করে বেড়ানো গাণ্ডুরা এখন মায়া কান্না দেখিয়ে কর্মসূচি দেয়। ধিক্কার তোদের মতো নরপশু জুলাই গাদ্দারদের।”
এর আগে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এক সমাবেশে মোস্তাফিজুর রহমান বলেছিলেন, “আমাদের লড়াই শেষে হবে ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে হাদী ভাই যে সাংস্কৃতিক লড়াই শুরু করেছেন তা শেষ করার মধ্য দিয়ে। আগামীকাল থেকে বাম, শাহবাগি, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে— তবেই প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।”
তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আজ তিনি ফেসবুকে এ ব্যাখ্যা দিলেন।

