তর্কের পর কুপিয়ে আহত নেত্রকোনার বিএনপি নেতা
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

আহত রোকন উদ্দিন ভূঞা ডাউকি গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় রোকন উদ্দিন বাড়ি থেকে ইজিবাইকে করে সান্দিকোনা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ডাউকি মসজিদের সামনে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের আলা বক্সের ছেলে তাইজ্জত আলীর নেতৃত্বে মাসুদ মিয়া, রাকিব উদ্দিনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়।

রোকন উদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রোকনের এক স্বজন জানান, কিছুদিন আগে রোকনের ভাতিজা সজীব মিয়ার সঙ্গে রাকিব উদ্দিনের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা–কাটাকাটি হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হলেও ধারণা করা হচ্ছে, সেই ঘটনার রেশ ধরেই এই হামলা হয়েছে।

ডাউকি গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, রোকনের ওপর হামলার খবরে বিএনপির নেতাকর্মী ও তাঁর স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা হামলাকারী তাইজ্জত আলীর বাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম ও কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভূঞা মুঠোফোনে কথা বলে সবাইকে শান্ত করেন এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

তাইজ্জত আলী ও রাকিব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।