
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কানুদশকাঠি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান বাবলুর দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ এবং সাত বছর ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন–ভাতা চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিদ্যালয়ের সামনে সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান হাওলাদার, সহকারী শিক্ষক সুশীল চন্দ্র রায়, অপর্না সমাদ্দার, রেদোয়ান তালুকদার ও পলি সুলতানা প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন–ভাতার এক-তৃতীয়াংশ কেটে নিতেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুজ্জামান বাবলু। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ফান্ডের ৮০ লাখ টাকার মধ্যে ৫৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি এবং মাত্র ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার হিসাব প্রদান করেন। বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে কোনো দাপ্তরিক চিঠি ছাড়াই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন–ভাতা বন্ধ করে দেন তিনি।
তারা আরও জানান, বেতন–ভাতা চালুর দাবিতে শিক্ষকরা ২০২২ সালের জুনে হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট ৩০ দিনের মধ্যে তাদের বেতন ভাতা চালুর নির্দেশ দেন। তবে রায়ের পরও বেতন–ভাতা চালু না করে উল্টো বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে তালা ঝুলিয়ে দেন নুরুজ্জামান বাবলু। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে শিক্ষকদের হয়রানি করে আসছেন।
শিক্ষকদের অভিযোগ, সাত বছর ধরে বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় তারা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। একই সঙ্গে ক্লাসরুমে তালা দেওয়ায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পাঠদানও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মানববন্ধনে বক্তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত বেতন–ভাতা চালু করে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরুর জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে নুরুজ্জামান বাবলুর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।