
নেত্রকোনা সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের রংয়ের বাজার এলাকার সড়কপারের কাছ থেকে নিখোঁজ দুই দিন পর এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম জহিরুল ইসলাম। পরিবারের দাবি, তাকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং অপহরণকারীদের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরেও তিনি প্রাণে বেঁচে থাকতে পারেননি।
জহিরুল ইসলাম কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত আরজ আলী খানের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জের একটি ইটভাটায় কর্মরত ছিলেন। মাসখানেক আগে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন।
নিহতের ভাই খাইরুল আমিন খান জানান, “গত বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জহিরুল বাড়ি থেকে বের হন, আর ফেরেননি। পরদিন বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয়ের একজন ফোন করে জানায়, জহিরুলকে অপহরণ করা হয়েছে। তারা বলেছিল, বিকাশের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকা দিলে জহিরুলকে ছাড়া হবে।” শুক্রবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে তিনটি বিকাশ নম্বরে মুক্তিপণ পাঠানো হয়।
খাইরুল জানান, “অপহরণকারীদের চাহিদা মেনে অর্থ পাঠানোর পরও ভাইকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অপহরণকারীরা বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করছিল। গত শুক্রবার রাতে একজন নিজেকে আরশাদ পরিচয় দিয়ে জানায়, জহিরুল অসুস্থ, হাসপাতালে নেওয়া হবে। এরপর কিছুক্ষণ পর আবার ফোনে জানানো হয়, জহিরুল মারা গেছেন। তাঁর মুখে ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। আমরা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও নেত্রকোনা মডেল থানা-পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত করছে। কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ তদন্তের পর জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এস কে আর