
বরগুনার আমতলীতে বাসচাপায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার প্রভাষক মো. রেজাউল করিম নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই আমতলী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং রাতেই পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর থেকে বাসটি জব্দসহ চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত রেজাউল করিম আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী গ্রামের বাসিন্দা এবং হাফেজ মাওলানা মো. নুরুল হকের ছেলে। তিনি আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার আইসিটি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান কর্মসূচি শেষে মোটরসাইকেলযোগে আমতলী শহর থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন রেজাউল করিম। পথে ঘটখালী ব্রিজের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা 'ছন্দা' পরিবহনের (পটুয়াখালী-ব-১১-০০৪৫) একটি বাস তার মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান।
রেজাউলের মৃত্যুর খবরে তাৎক্ষণিকভাবে ইসলামী আন্দোলনের শত শত নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঘটনার পর রাতেই নিহতের ভাই মাওলানা মো. ফয়জুল করিম বাদী হয়ে আমতলী থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে বাসের চালক মো. নুর জামাল (৪০), সুপারভাইজার মো. আকতারুজ্জামান মোল্লা (২৫) এবং হেলপার মো. আমির হোসেন (৩০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়।
রেজাউলের মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে ইশা আন্দোলনের নেতা-কর্মী এবং হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আমতলী-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের এক্স স্কুল চৌরাস্তা এলাকায় ফের সড়ক অবরোধ করেন। টায়ার জ্বালিয়ে এবং সড়ক দখল করে চলে বিক্ষোভ। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর দুপুরে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, মামলার পর অভিযান চালিয়ে বাস, চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।