মোঃ মাহবুব হোসেন, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদর থেকে শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙাগামী সড়কের পাশাপাশি দুটি সেতু দীর্ঘদিন যাবথ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
সেতুর আরসিসি গার্ডারে দেখা দিয়েছে ফাটল এবং পলেস্তার খসে পড়ছে। ফলে ভারি যান চলাচল ও মালামাল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ বলছে অনেক আগেই সেতু দুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরী মালামাল পরিবহণের জন্য গ্রাম পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলা সদর থেকে শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙাগামী সড়কের দেবীবাড়ি নামকস্থানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ তিন যুগ আগে প্রায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মান করে। প্রায় ৩ যুগের পুরনো সেতুটির নিচের অংশে আরসিসি গার্ডারে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং পলেস্তার খসে পড়ছে। এতে সেতুটি দেবে গিয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জরুরী মালমাল পরিবহণে সেতুর একপাড়ে মালামাল নামিয়ে শ্রমিক দিয়ে সেতুর অপর পাড়ে নিয়ে অন্য গাড়িতে তোলা হচ্ছে। মালামাল বোঝাই যানবাহন যাতে পারাপার না হতে পারে তা তদারকির জন্য সেতুর দুপাড়ে দুজন গ্রাম পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে । শুধু তাইনয়, এই সেতুটির অদূরে আরো একটি ৩০ মিটার দৈর্ঘের সেতুর একই অবস্থা। সেতুটির মাঝখানে দেখাদিয়েছে ফাটল। ফাটল স্থানে কাঠ বসিয়ে চলাচল উপযোগী রাখা হয়েছে। রেলিং ভেঙ্গে গেছে অনেক আগেই।
স্থানীয় বাসিন্দা জুবায়ের, ইছহাক আলী ও হায়াত আলী জানান, শিলখুড়ি ইউনিয়নে ৪টি বিজিবি ক্যাম্প, ৩টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাদরাসা রয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার লোকের উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। একি সড়কে পাশাপাশি দুটি সেতু দীর্ঘদিন থেকে অচলাবস্থায় পড়ে আছে। আমাদের প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শিলখুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জানান, প্রায় ৩ যুগ আগে সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ব্রীজ দুটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেছে। কিন্তু নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ না নেয়ায় স্থানীয় জনসাধারণের ভোগান্তি বেড়েছে। যানবাহন না চলায় এবং শিক্ষার্থীদের পারাপার ও মালামাল পরিবহণ করতে না পারায় ভীষণ অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার জানান, দীর্ঘদিন আগেই আমরা সেতুটি ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করেছি। জরুরী মালামাল পরিবহণের জন্য গ্রাম পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
