শীতপ্রবাহে অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন খায়রুল ইসলাম রোমান
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম রোমান শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানার দারিদ্র্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭০ পিস লেপ ও কম্বল বিতরণ করেছেন।


২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সারাদিন শহরের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানা ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন রোমান। লেপ–কম্বল পেয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা গভীর আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রতি বছরের মতো এবারও ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। 


এর আগে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত ১৬ নভেম্বর তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনার পরও তার সমাজসেবামূলক কাজ থেমে নেই। বরং সাধারণ মানুষের কাছে তিনি এখন আরও অধিক পরিচিত—একজন মানবিক মানুষের প্রতিচ্ছবি হিসেবে। স্থানীয়রা বলছেন, “দলীয় পদ হারালেও মানুষের জন্য কাজ করার মনোভাব তিনি হারাননি। এটাই তাকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে।”


ফরিদপুর অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় মাদ্রাসা ও এতিমখানার আবাসিক শিক্ষার্থীরা শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছিল। তাদের কষ্টের কথা বিবেচনায় নিয়েই রোমান এই উদ্যোগ নেন।


নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে খায়রুল ইসলাম রোমান বলেন,“যাদের কিছু নেই, শীত তাদের কাছে আরও ভয়ংকর হয়ে আসে। ছোট ছোট বাচ্চাদের কাঁপতে দেখলে মন ভেঙে যায়। আমার সামর্থ্য সীমিত—তবুও চেষ্টা করি প্রতি বছর তাদের পাশে দাঁড়ানোর। মানুষের ভালোবাসাই আমাকে এ কাজগুলো চালিয়ে যেতে উৎসাহ দেয়।” ভবিষ্যতেও এই ধরনের মানবিক কার্যক্রম আরও বড় পরিসরে চালিয়ে যেতে চান।


শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি সমাজের দানশীল ও সামর্থ্যবান মানুষের প্রতি অনুরোধ জানান। তার ভাষায়, “এই শিক্ষার্থীরা সত্যিই খুব অসহায়। কেউ এগিয়ে এলে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবো, যেন আরও বেশি শিশু শীত থেকে রক্ষা পায়।”


মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু বাস্তবে এসে সাহায্য করেন খুব কম মানুষ। খায়রুল ইসলাম রোমানের এই ধারাবাহিক মানবিক উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য এক ধরনের আশীর্বাদ।শীতবস্ত্রের পাশাপাশি বিভিন্ন মাদ্রাসায় কার্টপেট পেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকগণ এবং শিক্ষার্থীরা আনন্দিত। লেপ–কম্বল হাতে পেয়ে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মুখে যে আনন্দের হাসি ফোটে—তা-ই তার কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।