সেনাবাহিনী–সন্ত্রাসী গোলাগুলি, নিহত রাজমিস্ত্রি
ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে অস্ত্র উদ্ধারের সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলিতে এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।

গত রোববার রাতের দিকে জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালায়। এই সময় সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং পাল্টা গুলি চালায় সেনাবাহিনীও। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ওই এলাকায় এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত ব্যক্তি আবু সাঈদ (৩১), পেশায় রাজমিস্ত্রি এবং তিনি পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমিতয়াজ ভুঞা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি খুবই নিরীহ ছিলেন এবং এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি তিনি কার গুলিতে মারা গেছেন। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি সুনামগঞ্জের হাওরের দুর্গম এলাকায় ঘটেছে, যেখানে নৌকায় যাওয়া লাগে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী হাতিয়া গ্রামে দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। যুবলীগ নেতা একরার হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের গ্রুপের মধ্যে দাঙ্গার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছিল। শুক্রবার দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং গুলির ঘটনা ঘটেছে। এরপর রোববার সেনাবাহিনী অস্ত্র উদ্ধারের জন্য হাতিয়া গ্রামে অভিযান চালায়।

সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের এক কর্মকর্তা জানান, সুনামগঞ্জ থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার বিকেলে টহল দল পাঠানো হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে একরার হোসেনের অনুসারীরা গুলি চালায় এবং আত্মরক্ষার্থে সেনাও পাল্টা গুলি চালায়। এতে সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ একটি লাশ পাওয়া যায়, যার পরিচয় ও মৃত্যুর সঠিক কারণ তদন্তাধীন। যৌথ বাহিনী বর্তমানে অস্ত্রধারীদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।