জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান ও শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় সংগঠক মোতালেব শিকদার দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা সহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী সকল এলাকায় নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ ২২ ডিসেম্বর (সোমবার) চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
বিজিবি জানায়, ২২ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় দুর্বৃত্তরা মোতালেব শিকদারের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরবর্তীতে চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত পরীক্ষার জন্য তাকে শেখপাড়া সিটি ইমেজিং সেন্টারে নেওয়া হয়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর আওতাধীন মেইন পিলার ৭৫/৩-এস থেকে ১৩১/৮-আর পর্যন্ত প্রায় ১১৩ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি ও নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানায় বিজিবি।
সীমান্তের ঝুকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নিয়মিত ও বিশেষ টহল জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তারা জানায়, বিশেষ করে যেসব সীমান্ত এলাকায় কাটাতারের বেড়া নেই, সেসব এলাকা কার্যত সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী যাতে পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, 'মোতালেব শিকদারের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত কেউ যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে কঠোর তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন, যানবাহনে তল্লাশি, দর্শনা আইসিপি, দর্শনা, সুলতানপুর, বারাদী, বড়বলদিয়া, ফুলবাড়ী, ঠাকুরপুর, মুন্সিপুর, হুদাপাড়া, জগন্নাথপুর, আনন্দবাস, মুজিবনগর, নাজিরাকোনা, দাড়িয়াপুর, বুড়িপোতা, বাজিতপুর, ঝাঝা, ইছাখালী, রুন্দ্রনগর ও শৈলমারী বিওপিসহ সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকেই এসব এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ওপর নিবিড় তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

