কুড়িগ্রামে ‌বে‌ড়েছে শী‌তের তীব্রতা, তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে গত দুইদিন ধরে শী‌তের তীব্রতা বে‌ড়েই চল‌ছে।


আজ রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।


গেল শুক্রবার রাত থেকেই ঘন কুয়াশা ও শীতল বাতাসে জনজীবন কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। ভোরে পুরো জেলা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের প্রকোপ কমেনি।


জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য ২২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে।


শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ, দিনমজুর ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। অনেকেই সকালে কাজে বের হতে পারেননি। বিশেষ করে খোলা আকাশের নিচে কাজ করা মানুষের কষ্ট বেড়েছে।


চিলমারী উপজেলার ফকিরেরহাট নৌকাঘাট এলাকার নৌকা চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এতো ঘন কুয়াশা পড়ছে নদীত পথ বুঝা যায় না। শীতে ১০ হাত সামনের কোথায় ডুবো চর বুঝা মুশকিল, আন্দাজে(অনুমানে) নৌকা চলাচল করতেছি। 


কুয়াশার প্রভাবে সড়ক যোগাযোগেও ব্যাঘাত ঘটছে। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন ধীরগতিতে চলতে দেখা গেছে। এতে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।


নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. তাজেল উদ্দীন জানান, সারাদিন সূর্যের দেখা নাই। প্রচণ্ড শীত আর ঠাণ্ডায় গরীব মানুষ কাজে যাইতে পারছে না। এই এলাকায় এখনো শীতবস্ত্র আসেনি।


এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও ঠাণ্ডা বাতাস ও বেশি আর্দ্রতার কারণে শীতের প্রকোপ বেশি অনুভূত হচ্ছে। সকাল ছয়টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। আগামী কয়েক দিন শীতের এই প্রবণতা কিছুটা অব্যাহত থাকতে পারে।