কুড়িগ্রামে তিন বছর বয়সে সন্তানের পিতা হাফিজুর
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় সামনে এসেছে বয়স জালিয়াতির এক চাঞ্চল্যকর  ঘটনা। জন্মনিবন্ধনে বয়স কমিয়ে নিজের ছেলের চেয়ে মাত্র তিন বছরের বড় হয়ে গ্রামপুলিশের চাকরি নিয়েছেন যাদুরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান।


হাফিজুরের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ১৯৮৫ সাল। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে তিনি নতুন জন্মনিবন্ধন করে জন্মতারিখ দেখান ১৯৯৬, যাতে করে তার বয়স দাঁড়ায় ২৯ বছর। অন্যদিকে তার ছেলে নয়ন মিয়ার জন্ম ১৯৯৯ সালে। ফলে কাগজে-কলমে বাবা–ছেলের বয়সের ব্যবধান মাত্র তিন বছর। বড় মেয়ের সঙ্গেও বয়সের পার্থক্য দেড় বছরের বেশি নয়।


স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রামপুলিশ নিয়োগে জনপ্রতি তিন থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। পাঁচটি ইউনিয়নে ১৯ জন নিয়োগে প্রায় কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবি তাদের। ওই পথেই চাকরি পেয়েছেন হাফিজুর।


ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল হক ও হযরত আলী দু’জনেই জানান, এনআইডি থাকা অবস্থায় জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি করা এবং অর্থ লেনদেন ছাড়া এমন নিয়োগ সম্ভব নয়। এতে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গ্রামপুলিশ জানান, তার কাছ থেকেও তিন লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে যাদুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বয়স জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করলেও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।


রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল কুমার হালদার বলেন, 'অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করা হবে।' এদিকে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজও জানিয়েছেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।