হাইকোর্টের রায়ে বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল রাখার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট জেলা শাখা। এ উপলক্ষে জেলা আমীর মাওলানা রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, “প্রিয় বাগেরহাটবাসী, আপনারা জানেন, গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্টের বেঞ্চ বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল রাখার রায় প্রদান করে বাগেরহাটবাসীর অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। এ জন্য আমি সর্বপ্রথম আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। একই সঙ্গে যারা এ অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন, কষ্ট করেছেন, সাহায্য ও সহযোগিতা করেছেন—তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় সংসদে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কর্তন করে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবের পর পুরো জেলায় যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে, সে আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী ছিল প্রথম সারিতে। আসন কর্তনের প্রতিবাদে জামায়াত মিছিল, হরতাল, অবরোধ, মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদানসহ সবধরনের কর্মসূচিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি সর্বদলীয় আন্দোলন প্ল্যাটফর্মেও জামায়াতের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।”
জেলা আমীর জানান, আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি লড়াইয়েও জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সর্বদলীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যারিস্টার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে দাখিল করা রিট পিটিশনের যৌথ আবেদনকারীদের একজন তিনি নিজেও ছিলেন। ব্যারিস্টার জাকির হোসেনকে মামলার আইনি নেতৃত্বের দায়িত্বও প্রদান করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গাজীপুরের পক্ষে আপিল বিভাগে বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির মামলাটি পরিচালনা করছেন বলে যে গুজব ছড়ানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। তিনি মামলাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, “এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য বা মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

