কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার তালুক শিমুলবাড়ীর লালন আখড়াবাড়ীতে পালিত হলো মানবতাবাদী ফকির লালন সাঁইজির ১৩৫তম তিরোধান দিবস। রবিবার (৯ নভেম্বর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাউল, লালন ভক্ত ও সংগীতপ্রেমীরা সমবেত হন।
আখড়াবাড়ীর প্রতিষ্ঠাতা ছালেক শাহ ও অন্যান্য ভক্তদের নেতৃত্বে ১৪তম বার্ষিক ‘সাধু সঙ্গ ও ভাব-সংগীত’ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দিনের পুরো কার্যক্রম জুড়ে ফকির লালনের মানবতাবাদী ও অসাম্প্রদায়িক দর্শনের উপর আলোচনা হয়। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত পর্যন্ত চলে ভাব-সংগীতের মনোমুগ্ধকর আসর।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বাউল শিল্পীরা গভীর রাত পর্যন্ত গান পরিবেশন করেন। তারা বলেন, “লালনের গান শুধু সংগীত নয়, এটি মানবতার পাঠশালা।”
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসাইন, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান খন্দকার, রংপুর লালন একাডেমির সভাপতি আবু নুঈম সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
বক্তারা বলেন, ফকির লালন সাঁই শুধুমাত্র একজন বাউল ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবতার এক আলোকবর্তিকা। তাঁর গানে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে একতা ও ভালোবাসার বার্তা আছে। লালনের দর্শন আমাদের মানবিক ও উদার হতে শিক্ষা দেবে। তাই নতুন প্রজন্মের মাঝে লালন চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে।
আয়োজকরা জানান, লালন সাঁইজির দর্শন ও প্রেমভিত্তিক মানবধর্মকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতি বছরই তারা এ আয়োজন অব্যাহত রাখবেন।

