ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জেরে বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়নের কালোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় ইয়ারুল ও সোহেল গ্রুপের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোক কালোয়া গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে দুলাল শেখ, বেলাল শেখ, গোলাম আলীর ছেলে খসরু, মদন শেখের ছেলে বাচ্চু শেখ, আতিয়ারের ছেলে সিরাজ ও সুলতানপুরের মতিয়ার রহমানের ছেলে বিএনপি নেতা সালমান এফ রহমান বকুলের বাড়িসহ অন্তত ১০টি বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। জানা যায়, তারা সবাই স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুজ্জামান (রাশু মেম্বার) সমর্থক।
এ হামলায় বিএনপি নেতা বকুলের বাড়ির ১৩টি জানালা ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। বাড়ি থেকে দুটি গরু, প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিলাসবহুল ওই বাড়ির সামনের অংশও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বকুলের স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামীর কাছে ইয়ারুলরা পুলিশ হত্যা মামলায় সহযোগিতা না করার অজুহাতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় তারা এ হামলা চালায়। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।”
এছাড়াও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘড়ের চারপাশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিত্র পাওয়া গেছে। প্রায় বাড়ি টিনের হওয়ার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেশি হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, জমারত শেখ সোহেল, ইয়ারুল, সোহাগ, নাজমুল, ওয়াজ, শাহাদত, ওলি জোয়াদ্দারসহ প্রায় শতাধিক লোক আগ্নিঅস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে এই হামলা চালিয়ে। আমরা গরীব মানুষ এতে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। তবে এমন হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা ছিল অনেকটাই নিরব বলে দাবি তাদের।
অপর দিকে সোহেল ও ইয়ারুল সমর্থকরা ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করে বলেন, রাশি মেম্বার ও বকুলরা নিজেরাই এসব ঘটিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে অথচ তারাই পূর্বে বাহিনীর লোকজন নিয়ে এসে শত শত রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে।
স্থানীয় সাধারণ জনগণ দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি গুরুত্ব সহকারে ভূমিকা নেন তাহলে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব। তারা আরও জানান, আমরাও শান্তিতে বসবাস করতে চাই ।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যে থানায় এজাহার জমা হয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।”

