 
      রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারীরা তাঁকে গলা চেপে সিঁড়িতে ফেলে দেন। একই সঙ্গে উপ-রেজিস্ট্রার রবিউল ইসলামের দাঁড়ি ধরে টান দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
ঘটনাটি বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের ফটকে ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা তিনটার দিকে উপ-উপাচার্যের গাড়ি আটকে ‘ভিক্ষা’ চাইতে থাকেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গাড়ির চাবি কেড়ে নেওয়ার পর তিনি পায়ে হেঁটে বাসভবনে ফিরে যেতে চাইলে সেখানে গেটে তালা দেওয়া হয়। পরে তিনি প্রক্টরকে সঙ্গে নিয়ে জুবেরী ভবনে প্রবেশ করতে গেলে আন্দোলনকারীরা তাঁকে জাপটে ধরেন।
ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে অধ্যাপক মাঈন উদ্দীনকে এক শিক্ষার্থী ধাক্কা দিয়ে সিঁড়িতে ফেলে দেন। দু’জন শিক্ষকের সহায়তায় তিনি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওঠেন। তবে বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি, প্রক্টর, রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে তাঁরা মুক্ত হন।
এ ঘটনায় হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা পোষ্য কোটার বিরোধী হলেও শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি শিক্ষাঙ্গনের জন্য কলঙ্কজনক।” তারা অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।
এদিকে আহত উপ-রেজিস্ট্রার রবিউল ইসলাম বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর মেয়ে জানান, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পাওয়ায় তাঁকে স্যালাইন ও ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক সালাহউদ্দিন আম্মার দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীরা কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেনি, বরং প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
 সৈয়দ মাহিন, রাবি
                     সৈয়দ মাহিন, রাবি 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
