 
      সরকারি চাকরিতে দশম গ্রেডে আবেদন করতে না পারা এবং নবম গ্রেডে ডিপ্লোমাধারীদের জন্য ৩৩ শতাংশ কোটা নির্ধারণের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন তারা। এসময় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ টিয়ারশেল, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে বাধা দেয়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন (২৮ আগস্ট)ও তারা রাজপথে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ডিপ্লোমাধারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকায় চাকরির বাজারে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তাদের দাবি, বিএসসি ডিগ্রিধারীদেরও দশম গ্রেডের চাকরিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং ‘প্রকৌশলী’ পদবী ব্যবহারে স্বচ্ছতা আনতে হবে।
অন্যদিকে, ডিপ্লোমাধারীরা পাল্টা কর্মসূচি পালন করে বলেন, ১৯৭৮ সালের সরকারি প্রজ্ঞাপন ও বিদ্যমান বিধিমালার ভিত্তিতেই তাদের জন্য দশম গ্রেড নির্ধারিত হয়েছে।
উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার একটি কমিটি গঠন করে। এক মাসের মধ্যে বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাই করে সুপারিশ দেবে কমিটি।
সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। তবে তারা জানিয়েছে, দাবি আদায় না হলে আবারও রাজপথে নামবেন তারা।
 নিউজ ডেস্ক
                     নিউজ ডেস্ক 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
