কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের ২১ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের ন্যূনতম ৩৫ হাজার টাকা বেতন, সাগর-রুনিসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের হত্যা ও নির্যাতনের বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং অকারণে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহালসহ ২১ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের কলেজমোড়ে কুড়িগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেজিইউজে) এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে কুড়িগ্রামে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বৈরি আবহাওয়ায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ মানববন্ধনে অংশ নেন।


কেজিইউজে’র আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রিগান এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন লিটন, সদস্য বাবুল জামান, রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, রাশেদুজ্জামান তাওহীদ, তামজিদ হাসান তুরাগ, মুহাম্মদ জুবাইর, আব্দুল্লাহ্ সাহেদ, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বিপ্লব, সাংবাদিক সাওরাত সোহেল ও খন্দকার আরিফুল ইসলাম।


বক্তারা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ২১ দফা দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, “এই দাবি বাংলাদেশের সকল সাংবাদিকদের প্রাণের দাবি। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার স্বার্থে এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সরকার ও মিডিয়া হাউজগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।”


স্টার নিউজের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ও কেজিইউজে’র সদস্য মোহাম্মদ জুবাইর বলেন, “সাংবাদিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণসহ চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কথায় কথায় বিনা নোটিশে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা চলবে না। একই সাথে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।”


দৈনিক ইত্তেফাকের রাজারহাট উপজেলা প্রতিনিধি খন্দকার আরিফ বলেন, “গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। অথচ দেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই। আর্থিক নিরাপত্তা নেই, চাকরির নিরাপত্তা নেই, এমনকি জীবনের নিরাপত্তাও নেই। সাগর-রুনি হত্যার বিচার আজও আলোর মুখ দেখেনি। দেশে এখনও সাংবাদিকরা নিযাতনের শিকার হচ্ছেন। এসব বন্ধ করতে হবে। ২১ দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”


কেজিইউজে’র আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রিগান বলেন, “২১ দফা দাবি আমাদের প্রাণের দাবি। এসব দাবি বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। ঢাকায় মিডিয়া হাউজে কর্মরত সাংবাদিকদের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদেরও একই সুযোগ সুবিধার আওতায় আনতে হবে। স্বীকৃত গণমাধ্যমে কর্মরত বৈধ সাংবাদিক হলেই তাদেরকে ওয়েজ বোর্ডের সুবিধা দিতে হবে। একই সাথে সারা দেশে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকদের ন্যায় বিচার পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করা গেলে দেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারবে।”