চিকিৎসকের ছাড়পত্র ছাড়াই পশু জবাই: অ্যানথ্রাক্স ঝুঁকিতে সরিষাবাড়ী
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চিকিৎসকের ছাড়পত্র বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই করা হচ্ছে। এতে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।


উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট পিংনা ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ বাজারে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসে হাজারো গবাদিপশু। তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, কিছু অসাধু কসাই অধিক মুনাফার আশায় কম দামে অসুস্থ গরু কিনে জবাই করছেন। এতে কসাইসহ সাধারণ মানুষও অ্যানথ্রাক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।


চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় ইতোমধ্যে অ্যানথ্রাক্স রোগ শনাক্ত হয়েছে। বিশেষ করে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।


এই ব্যাকটেরিয়া মূলত ঘাসখেকো প্রাণীর দেহে জন্ম নেয় এবং আক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে আসা বা মাংস প্রক্রিয়াকরণের সময় মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো টিকাদান ও অসুস্থ পশু জবাই বন্ধ রাখলে সংক্রমণ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।


এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, “কসাইসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। অসুস্থ পশু জবাই না করলেই অ্যানথ্রাক্সসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।”


উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, “সরিষাবাড়ীতে এখনো অনুমোদিত কসাইখানা নেই, সেটিই সবচেয়ে বড় সমস্যা। অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে আমরা ইতিমধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছি। গত ৭ অক্টোবর উপজেলার ২৫ জন কসাইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং পশুর টিকাদান কার্যক্রমও চলছে।”


তিনি আরও বলেন, “গরুর মাংস খাওয়ার সময় নয়, বরং মাংস প্রক্রিয়াকরণের সময় কসাইরাই বেশি ঝুঁকিতে থাকে। যেহেতু পিংনা গোপালগঞ্জ হাটটি জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট, তাই প্রশাসন ও হাট কমিটির সমন্বয়ে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা গেলে পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।”