 
      ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
          রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। তবে সকাল ১০টা পর্যন্ত কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাল নজরুল ইসলাম বিজ্ঞান ভবন ও স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনে থাকা চারটি কেন্দ্রে সকালবেলায় ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেছে। জামাল নজরুল ইসলাম বিজ্ঞান ভবনের দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। এই কেন্দ্রে পূর্ব-দক্ষিণ গেট দিয়ে বিজয়-২৪ হলের ১ হাজার ৫২৯ জন এবং উত্তর-পশ্চিম গেট দিয়ে নবাব আব্দুল লতিফ হলের ১ হাজার ১১৩ জন ভোটার প্রবেশ করছেন।
জামাল নজরুল ইসলাম বিজ্ঞান ভবনের ফটকে দায়িত্বপালনরত রোভার স্কাউট সদস্য শাহিন মিয়া বলেন, “সকালে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন ছিল না। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটাররা বাড়ছে।”
অন্যদিকে, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের দক্ষিণ-পূর্ব গেট দিয়ে মাদার বখশ হল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম গেট দিয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৭৩৫ জন। সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, ভোটারদের দীর্ঘ লাইন নেই, বরং বিক্ষিপ্তভাবে শিক্ষার্থীরা এসে ভোট দিচ্ছেন।
এবারের নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি একাডেমিক ভবন ও একটি গেস্টহাউসসহ মোট ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এইসব কেন্দ্রে মোট ৯৯০টি বুথ রয়েছে। সকাল থেকে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটাররা নিয়ম মেনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন।
রাকসুতে মোট ২৫টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ ব্যতীত বাকি ২৩টি পদে সরাসরি শিক্ষার্থীদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। প্রতিটি হল সংসদে ১৭টি পদ থাকলেও সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ ছাড়া ১৫টি পদে নির্বাচন হয়। পাশাপাশি, সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে পাঁচটি পদে নির্বাচনও রাকসুর সঙ্গেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রাকসুর ২৩টি পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। ১৭টি হলে ১৫টি করে পদে লড়ছেন ৫৯৭ জন প্রার্থী। সিনেটের ৫টি পদের জন্য প্রার্থী সংখ্যা ৫৮ জন। একজন ভোটার মোট ৪৩টি পদে ভোট দিতে পারবেন এবং এ জন্য তার সময় থাকবে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট।
এবার রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) পদে ১৮ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৩ জন এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।
 নিউজ ডেস্ক
                     নিউজ ডেস্ক 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
