 
      দীর্ঘ ১৪ বছর পর আলোচিত এসআই মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. লিয়াকত শেখ (২৮) অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর ধামরাই থানার চরডাউটিয়া এলাকায় র্যাব-১০ ও র্যাব-৪ এর যৌথ গোয়েন্দা অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (৭ অক্টোবর) বিকালে ফরিদপুরের র্যাব-১০ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় চালানো হয় এ অভিযান। রাত আনুমানিক আড়াইটায় ধামরাই থেকে লিয়াকত শেখকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতিসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ শহরের বাস মালিক সমিতির সামনে একটি পরিত্যক্ত মোটরসাইকেল উদ্ধারে গিয়ে নিখোঁজ হন ঝিনাইদহ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পাশে একটি ডোবা থেকে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্তে জানা যায়, সরকারি অস্ত্র ও সরঞ্জাম ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৭ জুলাই ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামি লিয়াকত শেখকে দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান জানান, “আইনের চোখে কেউই অপরাধ করে পার পাবে না। যত সময়ই পেরিয়ে যাক না কেন।”
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত লিয়াকত শেখকে পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সদস্যসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
 অনিক রায়
                     অনিক রায় 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
