
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা চত্বরের মসজিদ প্রাঙ্গনে — তিনটি আমগাছ রোপণের মাধ্যমে শুরু হলো ইতিহাসের এক প্রাণবন্ত স্মরণ।
১৯ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ তিন সন্তানের স্মরণে বাজিতপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত হলো স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল, স্মৃতিফলক উন্মোচন এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
গতকাল শনিবার (১৯ জুলাই) বাজিতপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে স্মরণ করা হয় শহিদ মো. রাহুল, মো. রমজান মিয়া জীবন এবং কুদ্দুস মিয়াকে। তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারাশিদ বিন এনাম আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন শহিদদের নাম সম্বলিত একটি স্মৃতিফলক এবং রোপণ করেন তিনটি আমগাছের চারা। এই প্রতীকী বৃক্ষরোপণ শুধু প্রকৃতিকে সমৃদ্ধ করাই নয়, বরং শহিদদের আত্মত্যাগকে আগামী প্রজন্মের কাছে জীবন্ত করে তোলার প্রয়াস।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মৌমিতা গুহ ইভা, উপজেলা প্রকৌশলী বনি আমিন, পৌর সহকারী প্রকৌশলী মো. নওশাদ আলম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
দিনব্যাপী এই স্মরণ আয়োজনের অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয় একটি আবেগঘন মিউজিক্যাল ভিডিও—“কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা”, যেখানে ফুটে ওঠে আত্মত্যাগ ও আন্দোলনের চিত্র। পাশাপাশি প্রচারিত হয় ডকুমেন্টারির পঞ্চম পর্ব—“একটি শহীদ পরিবারের সাক্ষ্য” এবং একজন জুলাই যোদ্ধার স্মৃতিচারণমূলক ভিডিও।
এই আয়োজন শুধু একটি দিনের অনুষ্ঠান নয়, বরং তা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসকে হৃদয়ে ধারণ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম ও সচেতনতা গড়ে তোলার এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।