
ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাসব্যাপী নানা আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ‘জুলাই চত্বর’ ও ‘জুলাই কর্নার’ স্থাপন, শহীদ ও আহতদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিশেষ ভোজ ‘বিজয় ফিস্ট’।
গতকাল শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৩ জুলাই বেলা ১১টায় ‘জুলাই চত্বর’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। এরপর ১৫ ও ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও নাট্যোৎসব। ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষক সংহতি সমাবেশ। ২০ জুলাই বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে শহীদ পরিবার ও আহতদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
এছাড়া ২৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালায় ‘জুলাই কর্নার’ স্থাপন করা হবে। ১ আগস্ট আয়োজন করা হবে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিল। ১ থেকে ৫ আগস্ট চলবে আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে চিত্রাঙ্কন ও গ্রাফিতি প্রতিযোগিতা।
৩ ও ৪ আগস্ট আয়োজন করা হবে বিপ্লব-ভিত্তিক সংগীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরো কর্মসূচির সমাপ্তি হবে ৫ আগস্ট ‘ছাত্র-জনতার বিজয় র্যালি’ এবং সেইদিনের বিশেষ আয়োজন ‘বিজয় ফিস্ট’-এর মাধ্যমে। ওই দিনই ‘জুলাই বিপ্লব’ কেন্দ্রিক স্মারক ও অ্যালবাম প্রকাশ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার জানান, “৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে অভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই আয়োজনগুলো এই ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণীয় করে রাখবে। বিজয় ফিস্টে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটি প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।”